Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফাউন্ডেশন সম্পর্কে

    বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন সরকারি রেজুলিউশন অনুযায়ী ২০০৪ সালের ২রা ডিসেম্বর তারিখে  প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে ফাউন্ডেশনটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৪ সালের কোম্পানী আইনের আওতায় রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানী ও  ফার্মস কর্তৃক নিবন্ধিত হয়। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সরকারের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ছোট ও মাঝারি আকারের এনজিও তথা সহযোগী সংস্থাকে অর্থায়নের মাধ্যমে দেশের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন, তথ্য প্রযুক্তি সেবা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, উদ্ভাবনীমূলক কর্মকান্ড ও সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।  

   ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনসহ “মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল” অর্জনে বাস্তবমুখী ও ফলপ্রসূ কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র, হতদরিদ্র ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় ইতোমধ্যেই কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা লাভ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের সহচর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ¯্রােতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে, যা এসডিজি এর প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য দূরীকরণ এর সাথে সম্পৃক্ত। এ প্রধান লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হলে অন্যান্য লক্ষ্যের উপর দারুন ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ অর্জনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এসডিজি এর ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৯টি লক্ষ্য নিয়ে ৩০টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরলস পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছে।  

   টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ও এনজিওকে সমন্বিতভাবে কাজ করা অত্যাবশ্যক। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন ১১২০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র, পশ্চাদপদ এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে। বিএনএফ এবং এর সহযোগীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের দরিদ্র এবং অতি দরিদ্র জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছে। সহযোগী সংস্থাসমূহ তৃণমূল পর্যায়ের সমস্যা চিহ্নিত করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় দেশের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের সচেতনতা ও উৎসাহ বৃদ্ধি পাওয়াসহ তাদের আর্থিক উপার্জনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৯৭.০ লক্ষ উপকারভোগীর দোঁর গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। মোট উপকারভোগীর ৫৭.১৪% নারী এবং ৪২.৮৬% পুরুষ।

   বাংলাদেশে এনজিও ফাউন্ডেশনের একটি সুদক্ষ পরিবীক্ষণ উপদেষ্টা প্যানেল রয়েছে। নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম পরিদর্শন এবং কর্মসূচি যথাযথ বাস্তবায়ন, ব্যত্যয়/বিচ্যুতি ইত্যাদি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ/নিদের্শনা এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রভাব নির্ণয়ের লক্ষ্যে কয়েকটি গবেষণা সম্পাদিত হয়েছে।

   বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের দর্শন ও কর্মে, মানস ও মননে সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠী, উপকূল ও দুর্যাগে ক্ষতিগ্রস্ত ছিন্নমূল ও ভাসমান, হাওড়-বাওড় চরবাসী দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মূলত স্রোতে আনয়নে বদ্ধপরিকর। সর্বোপরি, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের, উপকারভোগীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বল্প সম্পদের সর্বোচ্চ, সর্বোত্তম, সর্বাত্মক সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে বিএনএফ নিরবিচ্ছিন্ন ভূমিকা রাখায় সদা সচেষ্ট।